টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বিজিপির এক সদস্যের ৩৮ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে; পরে মিয়ানমার দূতাবাসের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে রামুর মহাবিহার শ্মশানে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাশরুকী।
মৃত্যু হওয়া বিজিপির সদস্য ক্যাউ নন্দা (৩০)। তিনি মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) পুলিশ ল্যান্স কর্পোরাল পদে কর্মরত ছিলেন।
আব্দুল্লাহ আল মাশরুকী বলেন, মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সাথে বিদ্রোহী গোষ্টি আরাকান আর্মির মধ্যে দীর্ঘদিন সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। এর জেরে বিভিন্ন সময় সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয়ে রয়েছে ১২৪ জন বিজিপি সদস্য। এর মধ্যে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্য ক্যাউ নন্দা গত ২৮ জুলাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের কর্তব্যরত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বিজিবির কর্তব্যরত চিকিৎসক কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। গত ২ আগস্ট সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক বিজিপির অসুস্থ এ সদস্যকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) প্রেরণ করেন।
বিজিবির এ কর্মকর্তা বলেন, ‘গত ৩ আগস্ট রাতে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিজিপি সদস্য ক্যাউ নন্দা’র মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ মৃতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরীর পর মৃতদেহ চমেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি বিজিবির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলে সরকারের সংশ্লিষ্টরা মিয়ানমার দূতাবাস যোগযোগ করেন।’
লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাশরুকী জানান, সরকারের সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি বিজিবির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক গত ১৭ আগস্ট চমেক হাসপাতালের মর্গ থেকে বিজিপি সদস্যের মৃতদেহটি কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় রামু উপজেলার মহাবিহার শ্মশানে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাসের প্রতিনিধি এবং বিজিবির সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হওয়া বিজিপির সদস্যের সৎকার সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।
পাঠকের মতামত